প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ০১/০১/ ১৯৯৬ ইং সালে এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সাবেক বিমান কর্মকর্তা আলহাজ¦ আবদুর রব ভূঁইয়া সাহেব কর্তৃক দীনি শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে তিনি এলাকায় একটি হাই স্কুল করার জন্য তৎকালীন চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া সহ এলাকার গুনীজনদের নিয়ে অনেক বার বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু স্থান নির্ধারণ নিয়ে মানুষের মধ্যে মতানৈক্য হওয়ায় তাহা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরিশেষে জনাব মাহবুব আলম এর পরামর্শে বাড়ীর পার্শে^র জনাব তাজুল ইসলাম, আবুল হাশেম ও দাইয়ামিয়া হাবিলদার সহ সবাইকে নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে আবদুর রব সাহেব তার নিজ বাড়ির দরজায় একটি নূরানী তালীমুল কোরআন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এলাকার সুনাম ধন্য আলেমেদ্বীন এর নামে মাদ্রাসার নাম করন করা হয় মৌলভী সলিম উল্যাহ নূরানী মাদ্রাসা। কোনভাবে ১৩ হাত টিনসেড ঘর দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ৩য় জামাত পর্যন্ত নূরানী পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা দেওয়া চলে। এই সময় মাদ্রাসার জন্য আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেবের খালু জনাব দাইয়ামিয়া হাবিলদার ১৬.৫০ শতক ভূমি দান কবলা প্রদান করেন। যার বিনিময় পরবর্তীতে জনাব সফিক মিয়া থেকে ৬ শতক ভ‚মি এওজ দলিল করা হয়। মেস্ত্রী বাড়ির লোকজন ৪ শতক ভ‚মি এবং বাকি সব ভ‚মি জনাব আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেব সহ তাঁর ভ‚ইয়া বাড়ির লোকজন দান কবলা করে প্রদান করেন। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় মাদ্রাসাটি ক্রমশ উন্নতির পদ যাত্রা দেখে আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেব নিজ নামীয় ভ‚মি বিক্রয় করে বর্তমান দোতলার ১ম তলা বিল্ডিং নিজ অর্থায়নে (মাহবুব আলমের মাধ্যমে)তৈরি করেন। ২০০৪ইং সালে মাদ্রাসার অগ্রগতির জন্য সুদক্ষ একজন সুপারের জন্য স্থানীয় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করলে, বর্তমান সুপার মোঃ আবদুর রহিম জিহাদী সহ আরো ৩ জন আবেদন করেন। ২১/১২/২০০৪ইং তারিখের সাক্ষাৎকার বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বর্তমান সুপার মোঃ আবদুর রহিম জিহাদী নির্বাচিত ও মনোনীত হন। তখন মাদ্রাসায় দাড়াপাতা বিছিয়ে পাঠদান হত। এমনকি ঐ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানটি ও দাড়া পাতায় সম্পন্ন হয়। সুপার আবদুর রহিম জিহাদী দায়িত্ব গ্রহনের পর তাঁর পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় মাদ্রাসাটি সরকারি ভাবে দাখিল মাদ্রাসায় উন্নতি করার জন্য আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেবের সভাপতিত্বে ১৫/০৪/২০০৫ইং তরিখে একটি সাধারণ সভা হয়। উক্ত সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব শেষে অত্র মাদ্রাসার নাম নির্ধারণ করা হয় (কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা) নামে, এর একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেবকে নির্বাচিত ও মনোনীত করন পূর্বক এলাকার মান্যবর উপস্থিতি ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করেন। তখন মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন এলাকার প্রবীন ব্যক্তিত্ব মরহুম সামছুল হক সাহেবের বড় ছেলে জনাব, মাজহারুল হক মিয়া। পরবর্তীতে প্রবীন মান্যবর জনাব, আলহাজ¦ নুরুলহক হাবিলদার সাহেবকে সভাপতি করা হইলে, তাঁর নেতৃত্বে মাদ্রাসার দোতলা ভবন, টুল, টেবিল, ব্যাঞ্চ, ফার্নিচার ইত্যাদি সহ বহুল উন্নতি লাভ করে। তাঁর মৃত্যুর পর এলাকার বর্তমান কমিশনার হাফেজ আবুবকর ছিদ্দিক সভাপতি ও জনাব নিজাম উদ্দিন কচি কমিশনারকে সহ সভাপতি করা হয়। তাঁদের নির্দেশনায় পরবর্তীতে এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব আবু তাহের পাটোয়ারিকে সভাপতি করন পূর্বক মাদ্রাসাকে সরকারি ভাবে উন্নতি করনের চেষ্ঠা চালানো হয়। তিনি দোতালার চাদের সকল রড প্রদান করেন। তাঁরা সকলেই প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন। ২০০৮ সালে যখন জনাব, আবু তাহের মিয়া স্বেচ্ছায় সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। তখন আলহাজ¦ আবদুর রব সাহেব নিজেই সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে পুরোধমে মাদ্রাসার অগ্রগতির লক্ষ্যে জনাব, সাহাবউল্যাহ সচিব সহ অনেকের সহযোগীতা নিয়ে নিজ অর্থায়নে মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে উন্নতি করার আপ্রান চেষ্ঠা করেন। শেষ পর্যন্ত ০৭/০৭/২০১১ইং তারিখে “কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা” নামের প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক একযোগে ৫ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেনি পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়। সোনাইমুড়ী পৌরসভার একমাত্র দাখিল মাদ্রাসাটি হাজারো সমস্যা এবং বাধা পাড়ি দিয়ে ০১/০১/২০১৭ইং সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। মাদ্রাসার পার্শ^বর্তী লোকদের কমিটির এবং শিক্ষকবৃন্ধের ত্যাগের বিনিময়ে এই অর্জন স্বাধিত হয়। ২০১৩ইং সালে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির মৃত্যুত্তোর জনাব, খোরশেদ আলম হাবিলদার কে সভাপতি করা হয়। তারপরে বর্তমান সভাপতি জনাব, মাইনুদ্দিন সাহেবকে সর্বসম্মতিক্রমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয়। তাঁর সততা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে তিনি বর্তমান সময় পর্যন্ত সভাপতির গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতি বছর সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের গৌরবোজ¦ল ফলাফলের ভিত্তি¡তে ২০১৮ইং সালে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব, আলহাজ¦ এইচ.এম.ইব্রাহিম এম.পি মহোদয়ের মাধ্যমে ৩৮০০ বর্গফুট বিশিষ্ট (৪তলা) একটি ভবন স্থাপিত হয়। এমন কি ২০২২ইং সালে তাঁর সহযোগীতায় মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসায় ৩৮৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ১৭ জন শিক্ষক কর্মচরি এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে। পর্যাপ্ত শ্রেনীকক্ষ বৃদ্ধির জন্য উর্ধমুখী সম্প্রসারন আবশ্যক যাহা সরকারের সহযোগীতার আশ^াস রয়েছে। অত্র মাদ্রাসার জন্য যারা অবদান রেখেছেন আল্লাহ যেন তাদের উত্তম জাযা দান করেন। আমিন”

লেখক
সুপার
আব্দুর রাহিম জিহাদী

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবে দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ সাবেক বাংলাদেশ বিমান কর্মকর্তা মরহুম আলহাজ আবদুর রব ভূঁইয়া সাহেব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন পৌরসভার ৮ নং
ওয়ার্ড কাঁঠালি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ।সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি এগিয়ে যাচ্ছে । আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন ।আমিন!!!

সভাপতি
মোঃ মাঈন উদ্দিন

সুপারের বাণী

image-not-found

মরহুম আলহাজ আবদুর রব ভূঁইয়া সাহেব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন কাঁঠালি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঠালি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি যা বর্তমানে এম,পিও ভুক্ত হয়ে উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সুপার
আব্দুর রাহিম জিহাদী